বিশেষ প্রতিনিধি:
ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর এন্তেকাল
ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী এন্তেকাল করেন সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টা ২০ মিনিটে ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজীউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মৃত্যুকালে দুই ছেলে রেখে গেছেন। বরেণ্য এ রাজনীতিকের মৃত্যুতে দৈনিক উত্তরণ পরিবার গভীর শোকাহত। আমরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরীবার বর্গের প্রতি গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করছি।আজিজ আহম্মদ চৌধুরী প্রথমে জেলা পরিষদ প্রশাসক ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরী ও মা আজিজের নেছা চৌধুরানী। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের হাসানপুর চৌধুরী বাড়ী। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। কিছুদিন পর রাজনীতি আর সমাজ সেবায় সক্রিয় হন তিনি।১৯৭৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আনন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বপালনকালিন সময়ে ১৯৯৪সালে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭৩ সালে ছাগলনাইয়া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৭৯ থেকে ৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ৮৪ সাল থেকে ৯৯ সাল পর্যন্ত সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সভাপতি আবুল কাশেম মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে জাতীয় পরিষদ সদস্য মনোনীত হন। জীবদ্দশায় ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শাহ আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আমৃত্যু সভাপতি। এছাড়া ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি,রোগী কল্যাণ সমিতি, প্রবীণ হিতোষী সংঘ সহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বাবা সুলতান আহম্মদ চৌধুরীর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন সুলতান এন্ড সন্স। ছোট ছেলে চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব জেলা যুবলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বপালন করছেন।